About the holy Mecca or Haramine Sharif in our islamic bangla blog site at a glance.
এক নজরে মসজিদুল হারাম বা মক্কা শরীফ
ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান যা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত ।
যে দিকে মুসলিমরা নামাজের সময় কাবার দিকে মুখ করে দাড়ায় । এখানে মুসলিমরা হজ্ব ও ওমরা
করার জন্য যায় ।
কাবার ভিতরে ও বাইরে মোট আয়তন প্রায় ৩,৫৬,৮০০ বর্গমিটার । হজ্জের
মৌসুমে হওয়া মানুষের সমাবেশ পৃথিবীর বৃহত্তম মানব সমাবেশ ।
ইবরাহিম (আ) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ) একত্রে কাবা নির্মাণ করেন। ইবরাহিম (আ) কাবার পূর্ব কোণে হাজরে আসওয়াদ পাথর স্থাপন করা হয়
যা বেহেশত থেকে আনা হয় এবং এটি এক সময় দুধের মত সাদা ছিল ।কিন্তু মানুষের গোনাহের কারণে
এটি আস্তে আস্তে কালো হয়ে পড়ে ।
কাবা নির্মাণ শেষ হলে হযরত
ইব্রহীম (আঃ) কে হজ্বের জন্য আদেশ করা হয় । সুরা হজ্বে আল্লাহ-তায়ালা বলেন,
আর মানুষের কাছে হজ্ব ঘোষণা করে দাও ।ওরা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেটে ও ধাবমান উটের
পিঠে চড়ে, আসবে দুর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে ।(আল-কুরআন)
The Holy Khana-e Kaba Sharif |
ধারণা করা হয় এটি ২১৩০ খ্রিষ্টপূর্বব্দেরও আগে নির্মাণ করা হয় । মক্কা বিজয়ের আগে এখানে ৩৬০টি দেবদেবীর মূর্তি ছিল ।
মহানবী (দরূদ) মক্কা বিজয় করার পর মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলেন । ফলে কাবায় মূর্তি পূজা
বন্ধ হয়ে যায় । এরপর মসজিদুল হারামের নির্মাণ কাজ বিভিন্ন সময়ে সম্পাদিত হয় ।
প্রথম সংস্কার হয় ৬৯২ খ্রিঃ । প্রথমে এটি খোলামেলা একটি উদ্যানের
মত ছিল । পরে ছাদ সহ দেয়াল দিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয় । ঠিক ৮ম শতাব্দিতে এসে মসজিদের
পুরোনো কাঠ বদলে মার্বেলের স্তম্ভ স্থাপন ও নামাজের স্থান বাড়ানো হয় ।
তারপর ১৫৭০ খ্রিঃ ওটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যর শাষক সুলতান সুলেমানের
পুত্র সুলতান সেলিম (দ্বিতীয়) মসজিদুল হারামের প্রধান স্থপতি মিমার সিনানকে মসজিদ পুনরায়
নির্মানের আদেশ দেন । তখন ক্যালিগ্রাফি সম্বলিত গম্বুজ ও নতুন স্তম্ভ স্থাপন করা হয়
। ১৬২১ ও ১৬২৯ সালে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাবা ও মসজিদ আল হারামের দেয়াল অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ১৬২৯
সালে সুলতান মুরাদের শাসনামলে এঠি আবার সংস্কার করা হয় । এ সময় তিনি নতুন খিলান এবং
তিনটি নতুন মিনার নির্মাণ করেন । আর মেঝেতে দেয়া হয় মার্বেলে আচ্ছাদন । তখন থেকে পরের
তিনশত বছর এটি আর কোন রূপ ক্ষয়সাধন হয়নি ।
এরপর সৌদি সরকারের শুরুতে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৩ সালে আবার সংস্কার সাধন
হয় । আরো চারটি মিনার নির্মাণ, ছাদ সংস্কার করা হয় । সাফা ও মারওয়াকে মসজিদের দালানের মধ্যে আনা হয় । তখন উসমানীয় যুগের অনেক অংশ বাদ দেয়া হয় । সৌদি বাদশাহ
ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে নতূন করে এখানকার সংস্কার কাজ শুরু করেন । যুক্ত
করা হয় বাইরের জন্য নতুন নামাজের স্থান । আর এখানে প্রবেশ করতে হলে কিং ফাহাদ নামক
গেইট ব্যবহার করতে হয় ।
১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল নাগাদ আরো মিনার যুক্ত করা হয় । নির্মাণ
করা হয় আরাফাত, মিনা ও মুজদালিফায় বিভিন্ন স্থাপনা । আরো ১৮ টি ফটক, মার্বেল দিয়ে তৈরী
করা হয় ৫০০টি স্তম্ভ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্লোর, এয়ার-কন্ডিশনিং ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা,
ইলেকট্রিক্যাল সিড়ি ইত্যাদি ।
বর্তমানে সম্প্রসারনের কাজ আরো বাড়িয়ে ধারণ ক্ষমতা ২০লক্ষে উন্নীত
করা হবে বলে জানা যায় যা ২০২০সাল নাগাদ চলবে বলে মনে করা হয় । দুঃখের বিষয় এই যে, সম্প্রসারণের
এই কাজ চলমান অবস্থায় ২০১৫ সাল ১১ই সেপ্টেম্বরে একটি ক্রেন ভেঙে পড়ে ১১১ জন হজ যাত্রী
নিহত হয় ।
একটা সময় মুসলমানদের প্রথম কিবলা ছিল মসজিদুল আকসার দিকে । কিন্তু
কুরআনের নির্দেশ আর নবী পাক (দরূদ)এর মনের ইচ্ছা রাখতে গিয়েই আনুমানিক যোহরের নামাজের
সময় কিবলা ঘুড়িয়ে নেয়া হয় কাবার দিকে ।
কেবলা পরিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে – To know about
history of first Qibla in bangla islamic site. যে মসজিদটিটে
নামাজ পড়ার সময় কিবলা ঘুরিয়ে নেয়া হয় তার নাম হল মসজিদে কেববলাতাইন ।
এ জায়গাটিতে রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর, হাজরে আসওয়াদ, সাফা মারওয়া, জমজম কুপের পানি ।
হাজরে আসওয়াদ পাথর |
তথ্যবহুল ইসলামিক আরো অনেক বাংলা হাদীস-কোরআন সম্পর্কে জানতে এই সা্ইটাতে ঘুরে আসতে পারেন । The Largest Islamic Bangla Site.
0 comments:
Post a Comment