কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার পিতা-মাতা, এবং তার সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মোহাব্বত করবে। {সহীহ বুখারী শরিফ, হাদীস নং-১৫, সহীহ মুসলিম শরিফ, হাদীস নং-১৭৭}

Showing posts with label HIstory. Show all posts
Showing posts with label HIstory. Show all posts

Sunday, April 14, 2019

মুসলিম বিজ্ঞানীরাই হল সকল আবিষ্কারের মহানায়ক ।


ইসলামে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান ।  



জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা ,শিল্প, সাহিত্য ও বিশ্বসভ্যতায় মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ অবদান রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। পাশ্চাত্য সভ্যতার ধারক বাহক এবং তাদের অনুসারীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মুসলিম মনীষীদের নাম কে মুসলমানদের  স্মৃতিপট থেকে চির তরে মুছে ফেলার জন্য ইসলামের ইতিহাস এবং মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম কে বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করেছে। বলে ইতিহাস না জানার কারণে অনেকেই এ কথা অকপটে বলতেও দ্বিধা করে না যে, সভ্যতার উন্নয়নে তেমন কোনো অবদান নেই। অথচ  মুসলমানগণই জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখা প্রশাখা আবিষ্কার করে গিয়েছেন। তাঁদের মৌলিক আবিষ্কার এর উপরেই বর্তমান জ্ঞান বিজ্ঞানের অধিষ্ঠান। তাই আলোচ্য প্রবন্ধে কিছু মুসলিম মনীষীদের জ্ঞান বিজ্ঞানের অবদান এর কথা আগামী প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে চাই।

জাবির ইবনে হাইয়ান
 সর্বপ্রথম নাইট্রিক অ্যাসিড আবিস্কার, সালফিউরিক অ্যাসিড আবিস্কার, ও নাইট্রিক এসিড স্বর্ণ গলানোর ফর্মুলা আবিষ্কারের একমাত্র জনক হল মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান। স্বর্ণ গলানোর পদার্থের নাম ”অ্যাকোয়াবিজিয়া” নামটি তার দেয়া। তিনি চামড়াও কাপড়ে রং করার প্রণালী, ইস্পাত প্রস্তুত করার পদ্ধতি ওয়াটার প্রুফ  কাপড়ে বার্নিশ করার উপায় আবিষ্কারের জনক। এছাড়াও তিনি স্বর্ণ ও পরশ পাথর তৈরি করতে পারতেন। অন্য ধাতুর সঙ্গে মিশ্র স্বর্ণকে কুপেলেশনপদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি ও তার আবিষ্কারক।এর বাহিরে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্র, দর্শন,  যুক্তি বিদ্যা, রসায়ন, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিদ্যা জ্যোতির বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান ও কাব্য সম্পর্কে  2000 এর বেশি গ্রন্থ রচনা করেন।

ইবনুন নাফিস
 মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা, শ্বাসনালী আভ্যন্তর অবস্থা, মানবদেহে বায়ু ও রক্ত প্রবাহের মধ্য ও ক্রিয়া প্রক্রিয়ার ব্যাপার, ফুসফুসের নির্মাণ কৌশল আবিষ্কার করেন এই মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী। রক্ত চলাচল সম্বন্ধে তৎকালীন প্রচলিত  গ্যালন এর মতবাদকে ভুল প্রমাণিত করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে 13 শতক শতাব্দীর বিপ্লবের সূচনা করেন তিনি। চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়াও তিনি সাহিত্য, আইন, ধর্ম লজিক শাস্ত্রের অগাধ পাণ্ডিত্য অধিকারী ছিলেন।

আল বাত্তানী
 এই মুসলিম মনীষী 20 বছর বয়সেই শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও পন্ডিত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হন। তিনি ছিলেন একজন অংক শাস্ত্রবিদ ও জ্যোতিবিজ্ঞানী। চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্র প্রভৃতির প্রকৃতি ও সম্বন্ধে তার সঠিক তথ্য শুধুমাত্র অভাবনীয়ই বরং জ্যোতির্বিজ্ঞানী  টমেলি সহবহু বিজ্ঞানের ভুলো তিনি সংশোধন করেন।
 আল বাত্তানীই সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন যে, ত্রিকোনমিতি একটি স্বয়ং স্বাধীন বিজ্ঞান। তার সংস্পর্শের নির্জীব ত্রিকোণমিতিক হয়ে ওঠে। সাইন, কোসাইনের সঙ্গে ট্যানজেস্টের সম্পর্ক ও তার আবিষ্কার।


আল বেরুনী
 অধ্যাপক মাপা বলেন- আল বেরুনী শুধু মুসলিম বিশ্বের ওই নয় বরং তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ব্যক্তি। ত্রিকোণমিতিতে তিনি বহু তথ্য আবিষ্কার করেছে। কোর্পা নিকাস বলেছে- পৃথিবীর সহ গ্রহ গুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। অথচ কোর্পানিকাস এর জন্মের 425 বছর পূর্বে আল বেরুনী বলেছেন- বৃুত্তিক গতিতে পৃথিবী ঘুরে ।তিনি টামেলি ও ইয়াকুবের দশমিক অংকের ভুল ধরে তার সংশোধন করেন। তিনি সর্বপ্রথম প্রাকৃতিক ঝর্ণা এবং আর্টেসিয় কূপের রহস্য উদঘাটন করেন। তিনি এরিষ্টটলের হেবের গ্রন্থের 10 টি ভুল আবিষ্কার করেন। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক তার আবিষ্কার। শুদ্ধ গণনায় আলবেরুনী একটি বিস্ময়কর পন্থা আবিষ্কার করেন যার বর্তমান নাম দা ফর্মুলা অফ ইনফর্মেশন।

 ইবনে সিনা
  মাত্র 17 বছর বয়সে সকল বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে। 19 বছর বয়সে তিনি বিজ্ঞান,  দর্শন, ইতিহাস,  অর্থনীতি, রাজনীতি গণিতশাস্ত্র, জ্যামিতি, ন্যায় শাস্ত্র, চিকিৎসা শাস্ত্র ইত্যাদিতে মহা পাণ্ডিত্য অর্জন করে। একুশ বছর বয়সে তিনি আল মজমুয়া নামক একটি বিশ্বকোষ রচনা করেন। পানি ও  ভূমির মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় তা তিনি আবিষ্কার করেন। তার লেখা আল কানুন 5 টি বিশাল খন্ডে বিভক্ত পৃষ্ঠা সংখ্যা চার লাখেরও বেশি, খেতে শতাধিক জটিল কারণ ও সমাধানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হল ইবনে সিনা ।

ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি
 ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি সর্বপ্রথম ইসলামী   জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন, ও সাহিত্যে ইসলামের পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছেন। এছাড়াও অংক শাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিল তার বিশেষ আগ্রহ। এ সম্পর্কে তাঁর বিষয় ছিল ম্যাজিক স্কয়ার। সাবিত ইবনে কোরা ও ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি ব্যতীত ম্যাজিক স্কয়ার মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের মনোযোগ আকৃষ্ট করতে পারেনি। তিনি নক্ষত্রাদির গতি ও প্রকৃতি সম্বন্ধে বই রচনা করেন।

ইবনে খালদুন
 মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে কুরআনের তাফসীর শিক্ষা শেষ করেন। দর্শন, রাজনীতি,  অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে ছিলেন তিনি সেরা পন্ডিত। তিনি বিখ্যাত আল মুকাদ্দিমা বইটি রচনা করেন। কিতাবের মাধ্যমে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজবিজ্ঞান, ওই ও দার্শনিক সুখ্যাতি অর্জন করেন। আল মুকাদ্দিমায় তিনি যে মৌলিক চিন্তা ধারার পরিচয় দিয়েছেন তা পৃথিবীতে আজও বিরল। তিনি সমাজবিজ্ঞান ও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন। ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর লেখা কিতাব আল  ইবর বিশ্বে প্রথম এবং সর্ব বৃহৎ ইতিহাস গ্রন্থ।

ওমর খৈয়াম
 ইউরোপিয়রা অত্যন্ত কৌশলে এ মহামনীষী কে বিশ্ব বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানীর পরিবর্তে কেবলমাত্র একজন কবি হিসেবে পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি করার চেষ্টা করেছেন। ওমর খৈয়ামের সর্বাধিক অবদান আলজাবরা অর্থাৎ বীজগণিত। জ্যামিতি সমাধান বীজগণিত এবং বীজগণিত সমাধানে জ্যামিতি পদ্ধতির আবিষ্কারক তিনি।ভগ্নাংশ সমীকরণের উল্লেখ্য ও সমাধান করে তিনি সর্বপ্রথম বীজগণিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। বীজগণিত এর ক্ষেত্রে বাইনোমিয়াল থিউরিয়াস এর জনক তিনিই। অথচ ইবনে খালদুনের শতশত বছর পর বাইনোমিয়াল থিউরিয়াস কার বলে নিউটন আজও পৃথিবীতে বিখ্যাত।  গণিত জগতে  এলালিটিক  জিওমেট্রিক কল্পনা তিনি সর্বপ্রথম করেন। এছাড়াও তিনি একটি নতুন গ্রহ আবিষ্কার করেন। তিনি আরও ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বিশ্ব বিখ্যাত কবি। কিন্তু মুসলিম জাতি আজও তার সম্পর্কে পুরোপুরি জানেনা।

ইবনে রুশদ
 তিনি দর্শন, ধর্মতত্ত্ব,আইন, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, ব্যাকরন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর বহু বই রচনা করেন। তিনি গোলকের গতি সম্পর্কে একটি বই রচনা করেন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর ২০টি বই রচনা করেন। তিনি কিতাব আল কল্লিয়াতি ‍ফিত ত্বীব বইটিতে অসংখ্য রোগের নাম লক্ষণ ও চিকিৎসা প্রণালী বর্ণনা করেন। এছাড়াও ইবনে রুশদ সংগীত ও ত্রিকোণমিতিতে অনেক বই রচনা করেন।

এছাড়াও আরো অনেক মুসলিম মনীষী অন্যান্য অনেক খাতে বিশেষ বিশেষ অবদান রেখেছেন যা আমরা আমাদের অজ্ঞতা ও না জানার দরুন এবং সংরক্ষণ ও গবেষণা মূলক প্রতিষ্ঠান অভাবে এসব মুসলিম মনীষীদের নাম ধীরে ধীরে ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। যার কারনে দিন দিন লোপ পাচ্ছে এবং বিলুপ্ত হচ্ছে মুসলিম মনীষীদের স্বর্ণ গাঁথা ইতিহাস গুলো ।

ইসলাম সম্পর্কে নিত্যনতুন আরো অনেক ঘটনা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আমাদের এই ব্লগের সাথেই থাকুন।

Thursday, April 11, 2019

মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠায় প্রথম বায়াতের ঘটনা ।



ইসলাম এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মদিনা সনদের পদক্ষেপ সমূহ
হুজুর আকরাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলাম প্রচারে তাঁর দাওয়াতি কর্মকে যতোটুকু সম্ভব প্রসারিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। মক্কায় বিভিন্ন মেলা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জনসাধারণের প্রতি তার দাওয়াতি কর্ম অব্যাহত রাখেন। যার ফলে মক্কার কাফেররা বাইরের লোকদের কাছে তাঁর ইমেজ নষ্ট করার জন্য এবং তাঁর থেকে দূরে রাখার চেষ্টায় লিপ্ত থাকতো। তাদের এই নেতিবাচক কর্মকান্ড একদিক থেকে ইসলামের প্রচার ও প্রসার কে ত্বরান্বিত করে এবং হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিচিতি কে বিস্তৃতি করে দেয় ।

মদিনা সনদ পর্ব-০২


নবুওয়াতের দশম সনে হজ্জের সময় এক রাতে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরবের বিভিন্ন গোত্রের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। আকাবা নামক স্থানে খাযরাজ গোত্রের কিছু লোকের সাথে দেখা হলে তিনি তাদের পরিচয় জানতে চান। তারা নিজেদের খাযরাজগোত্রের লোক বলে পরিচয় দেয়। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কি ইহুদীদের প্রতিবেশী ?তারা বলল হা। তাদের সাথে পরিচয় গো প্রাথমিক আলাপচারিতায় হুজুর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম  প্রকৃত অর্থে মদিনা শরীফের পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং সেখানকার বিভিন্ন গোত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলি জানতে পারেন। হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান করেন এবং কুরআন পড়ে শোনান। পবিত্র কোরআনের বাণী শুনে তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি দারুন দারুণভাবে  মোহিত হন। আর সে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছিলেন হযরত  ইয়াস বিন মু’য়াজ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু । তিনি তাঁর সব গোত্রের লোকদের বলেন আল্লাহ  শপথ তোমরা এখানে যে উদ্দেশ্যে এসেছ তারচেয়ে দাওআত অনেক উত্তম। কিন্তু প্রতিনিধিদলের প্রধান তার কথায় প্রকাশ করল না, তবে হযরত  ইয়াস বিন মু’য়াজ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইসলাম কবুল করেন। কোন কোন বর্ণনা অনুযায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আরজ করেন যে, এখন আমাদের আউস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ চলতেছে। যদি এ মুহূর্ত আপনি মদীনা শরীফে আগমন করেন, তবে উভয় গোত্র বাই’আত গ্রহণে সম্মত হবে না। যদি আপনি একটি বছর অপেক্ষা করেন এবং এর মধ্য উভয় গোত্র যুদ্ধ-বিগ্রহ ছেড়ে সন্ধিতে আবদ্ধ হয়, আউস ও  খাযরাজ একত্রিত হয়ে ইসলাম কবুল করবে। আগামী বছর আমরা আবার আসবো এবং তখন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে । (তাবাকাতে ইবনে সাদ)

ইসলামের মর্মবাণী শোনার পর উক্ত প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এই সত্যটুকু অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, তিনিই  সর্বশেষ নবী। যার ব্যাপারে  ইহুদিরা প্রায় বলাবলি করত । তারা ইহুদিদের পূর্বে জানার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আহবানে সাড়া দিয়ে  ঈমান আনেন। এবং ইয়াসরিবকে ইসলামের কেন্দ্র বানানোর লক্ষ্যে সেখানে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রথম প্রতিনিধি দল হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইয়াসরিব  এ আনসারীদের ঘরে ঘরে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল।

আকাবার প্রথম বায়াত
 নবুওয়াতের  এগারতম বর্ষে বার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তাদের কৃত ওয়াদা অনুযায়ী মক্কায় হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করতে আসেন।বার জনের মধ্য সাতজন ব্যতীত বাকি পাঁচজনের সাথে এর আগের বছর ও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারা সবাই হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র হাতে বায়াত গ্রহণ করেন যেটা পৃথিবীর ইতিহাসে আকাবার প্রথম শপথ হিসেবে বিখ্যাত।

 বায়াত গ্রহণ কারী সম্মানিত সাহাবীগণ যারা ছিলেন
১. হযরত আবু উমামাহ  আসাদ বিন যুরারাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
২. হযরত আওফ বিন হারেছ  রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
৩. হযরত রাফে বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
৪. হযরত উয়াইম বিন ছা’য়দাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
৫. হযরত আবু হাইসাম মালিক বিন তাহইয়ান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
৬. হযরত আব্বাস বিন উবাদাহ রাদি আল্লাহ তাআলা আনহু
৭. হযরত উবাদাহ বিন চামেত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
৮. হযরত খালেদ বিন মাখলাদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
৯. হযরত যাকওয়ান বিন কাইছ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
১০. হযরত মুয়াজ বিন হারাছ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
১১. হযরত কুতাইয়াহ্ বিন আমের বিন হাদিদাহ্ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
১২. হযরত উকবাহ্ বিন আমের রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের কাছ থেকে এই বিষয়ে  বায়াত গ্রহণ করেন
১. আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করব এবং তাঁর সাথে কাউকে শরিক করব না
২. চুরি করা থেকে বিরত থাকব
৩. ব্যভিচার করব না।
৪. সন্তান সন্ততি বিশেষ করে কন্যা সন্তানকে  হত্যা করবো না।
৫. কারো ওপর মিথ্যা অপবাদ দেবো না।
৬. কুৎসা রটনা ওপর নেতা থেকে বিরত থাকব।
৭. সকল কাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য করব।

 আকাবার প্রথম আয়াত অনুষ্ঠানে যেসব বিষয়ের উপর বায়াত গ্রহণ করা হয়, তা মদিনা শরীফের একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচনা করে দেয়। উত্তর প্রতিনিধি  দলের কাছ থেকে একদিকে যেমন ইয়াসরিবের এর সকল পাপাচার, অত্যাচার সমূলে উৎখাত করার অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিল অনুরূপভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের ওয়াদা ও নেয়া হয়েছিল। বায়াতের মদীনা শরীফে ফেরার সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নিকট তাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেয়ার জন্য তাদের সাথে একজন শিক্ষক প্রেরণের আবেদন পেশ করেন। তিনি তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং হযরত মাসয়াব বিন উমাইয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে তাদের সাথে প্রেরণ করেন। এবং তিনি ইয়াসরিবের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি হযরত আস'আদ বিন যুরারাহ  রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর ঘরে অবস্থান করেন। হযরত মাসয়াব  বিন উমাইররাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মদিনা থেকে  কুবা পর্যন্ত ইসলাম প্রসার লাভ করে।আউস গোত্র প্রধান হযরত সা’আদ  বিন মু’য়ায রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইসলাম গ্রহণ করলে সেই গোত্রের সকল লোক মুসলমান হয়ে যান।


আরো পড়ুন এই লিংকে
ইতিহাসে লিখিত প্রথম সংবিধান – মদিনা সনদ ।

Thursday, April 4, 2019

ইতিহাসে লিখিত প্রথম সংবিধান – মদিনা সনদ ।


ইতিহাসে লিখিত প্রথম সংবিধান মদিনা সনদ  কি এবং কেন?

মদিনা সনদ


 মানব সভ্যতার ইতিহাসে ইসলাম অতীব মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন।হযরত আদম আলাই সাল্লাম এর অবতরণের পর হতে মানব সমাজ সভ্যতা সংস্কৃতির বিকাশের অসংখ্য স্তর  পাড়ি দিয়েছে ।এ অগ্রযাত্রায় যে গতি ইসলামের  মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়েছে তা হলো কোন ধর্ম জ্ঞান বিজ্ঞান মতবাদ বা সংস্কার মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধিত হয়নি ।ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। যা মানুষের স্বভাব বা প্রকৃতির সাথে দারুন সামঞ্জস্যপূর্ণ এর তাৎপর্য হচ্ছে মানব গোষ্ঠীর অস্তিত্ব ও সুষ্ঠু অগ্রযাত্রায় ইসলামের মৌলিক নিয়ম নীতি অনুসরণের মধ্য নিহিত এবং এর মূলনীতি থেকে বিচ্যুতি আত্মহত্যার শামিল। মানবতার ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, দেশ বা জাতির প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য ইসলামের সত্যতা স্বীকার করে আইন কানুন এর প্রতি যত্নবান হয়েছে এবং অন্যত্র সামগ্রিক বিকাশ তাদের ভাগ্য নীতিতে পরিণত হয়েছে ।হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর  উত্তম আদর্শ এমন একটি মাপকাঠি যা ইসলামের মূলনীতির  বাস্তব বিশ্লেষণ। নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের প্রতিটি ‍দিক মানব সমাজকে সত্যের দিশা দেয় ।

হুজুর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামী আন্দোলনকে সার্থক করে তুলতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাতে দাওয়াতি, সমর জিহাদ, আইনি ও সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও সন্ধি ভিত্তিক প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত। আর এস পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এর পিছনে তার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অক্লান্ত পরিশ্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা, মিথ্যা বিলুপ্ত করা এবং ইসলামের হক তথা সত্যধর্মকে বিজয় দান করা।  মদিনা সনদ হল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাজনৈতিক সন্ধি বিষয়ক এবং আইনি ও শাসনতান্ত্রিক প্রচেষ্টার এক অসাধারণ  প্রতিফলন।

মদিনার সনদ একদিকে যেমন   রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াত ও তাবলীগের ক্ষেত্রে নয়া দিগন্তের সূচনা করেছে, অন্যদিকে এ সনদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইসলামকে সর্বকালের জন্য এক অনন্য ও অতুলনীয় মর্যাদা দিয়েছে। মদিনার সনদ পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান হওয়ার মর্যাদায় ভূষিত। আরবের মরুভুমিতে এক নিরক্ষর (উপমা দিতে গিয়ে বোঝানো হয়েছে)নবী এমন সময় পৃথিবীতে একটি পূর্ণাঙ্গ লিখিত সংবিধান উপহার দেয় যখন পৃথিবীতে কোন আইন বা সংবিধানের অস্তিত্ব ছিল না। আধুনিক ইউরোপের আইন ও সাংবিধানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল 1215 সনে, যখন ব্রিটিশ রাজা জন ম্যাগনাকার্টা স্বাক্ষর করেছিল। অথচ এর আরও 593 বছর পূর্বে 622 খ্রিস্টাব্দে মদিনা রাষ্ট্রের হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে একটি  পূর্ণাঙ্গ লিখিত সংবিধান দেয়া হয়েছিল।

 ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত লাইব্রেরী অফ মর্ডান নোলেজে বিশ্ব রাজনীতি ও আইনি সংস্থা এবং এর অগ্রগতি কথা বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেন
The world first unified state of which we know was established in Egypt around 3200 BC……………………………. when the two Kingdoms of upper and lower Egypt were United. A Centralised and bureaucratic Empire eventually developed. Others Empire followed, notably those of Persia, China and Rome of all which covered vast areas of the world. But the state as it exists today is based on model that evolved in western Europe after the fall of the Roman empire in the 5th century A.D
                                           

আমাদের জানামতে বিশ্বে প্রথম সংঘটিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় খ্রিস্টপূর্ব  3200সনে মিশরে;  যখন মিশরের উভয় রাজ্য সংযুক্ত ও একীভূত হয়। এভাবে একটি কেন্দ্রীয় এবং নিয়মতান্ত্রিক সাম্রাজ্য অস্তিত্বে আসে। পরবর্তীতে যে সকল রাজত্বের উদ্ভব হয়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইরান চীন এবং রোম সাম্রাজ্য। যা পৃথিবীর ব্যাপক  অংশে বিস্তৃত ছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের রাষ্ট্র ব্যবস্থা তার ভিত্তি প্রস্তর সেই  মানদন্ডের উপর প্রতিষ্ঠিত।যা  খ্রিস্টাব্দের পঞ্চম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ইউরোপে বিস্তার লাভ করে।

The next stage in the evolution of the state as we know it today was the development of the territorial state as a defined area of land with a single Meler…… By the end of the 17th century, this form of state was common all over the Europe.
p (reader biggest library of modern knowledge. volume 2 Ed.1979)
রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্রমবিকাশ এর পরবর্তী ধাপ ছিল অঞ্চলভিত্তিক রাজ্যের উত্থান যেটা সঙ্গে আজ আমরা পরিচিত। অর্থাৎ রাজ্য একটা নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হবে এবং এর একজন শাসক থাকবে। এই আদলের রাষ্ট্র ব্যবস্থা সতেরো শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত সমগ্র ইউরোপের অধিষ্ঠিত ছিল।
অর্থাৎ বিশ্বের রাজনৈতিক ও আইনি বিবর্তন বা ক্রমবিকাশের পুরো যাত্রায় ইসলামের কোন ভূমিকা পশ্চিমা দুনিয়ার লেখকদের নজরে পড়েনি। অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের রাজনীতি ও আইনের বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছাতে শত শত বছরের রাস্তা পাড়ি দিতে হয়েছে।

 ব্রিটেনে 1215 সনে ম্যাগনাকার্টা- 16 ই ডিসেম্বর 16 89 সনে Bill of rights,  1700 সনে The of sattlementএবং 1911 সনে The parliament act চূড়ান্ত করা হয়। আমেরিকায় 1787 সনে constitutional convention অনুষ্ঠিত হয় এবং ফ্রান্সের 1791 সনে জাতীয় সংসদ আইন মঞ্জুর করে।

 যদিও মানবাধিকার বা মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের সাংবিধানিক যাত্রা পশ্চিমা বিশ্ব 1215 সনে শুরু করলেও এরপর সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আরো শত শত বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। এর প্রমাণ হচ্ছে রাজ্য পরিচালনায় শাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ দূরীকরণের লক্ষ্যে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই বাছাই করে সরকারকে এর রিপোর্ট দেয়ার জন্য সর্বপ্রথম 1809 সনে এক ব্যক্তিকে সুইডেনের নিয়োগ দেওয়া হয়। জাদ দীর্ঘ সময় ধরে আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি ছিল। অনেক বছর ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে পদ্ধতি গ্রহণ করে। অথচ হিজরী এক সনে মদিনার সনদের মাধ্যমে যে ইসলামের যাত্রা শুরু,সেটি 10 বছরের কম সময়ের মধ্যে আইন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সফলতা ও উৎকর্ষতার চরম পর্যায়ে আরোহন করে।

 হিজরী সনে যখন হুজুর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন, সর্বকালের মানবজাতির জন্য এক অনন্য ও আধুনিক দিক নির্দেশনা পূর্ণ ছিল। অতঃপর খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়কাল এবং এর ধারাবাহিকতা এবং প্রতিক্রিয়া আরো বেগবান হয়েছিল। রাষ্ট্রের একজন সাধারন এতটুকু অধিকার ছিল যে, সে কোন ব্যাপারে খলিফার কাজের মূল্যায়ন করতে পারত। এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারত।

 আজ উন্নত বিশ্বের সংবিধান সমূহের মধ্যে সাত হাজার শব্দ ভান্ডার দ্বারা রচিত আমেরিকার সংবিধান কে একটি সংক্ষিপ্ত ও আদর্শ সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।অথচ চৌদ্দশ বছর পূর্বে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রদত্ত 730 শব্দের মদিনার সনদ এর চেয়ে অনেক বেশি সুসংহত, যাতে সকল শ্রেণীর লোকের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারের দায়িত্ব পালনের পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সংখ্যালঘুসহ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং একটি সফল ইসলামী রাষ্ট্রের প্রকৃত রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে ।

মদিনার সনদ সম্পর্কিত এ রচনাটি অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ তাহের উল কাদেরী রচিত বই "মদিনার সনদ" থেকে নেয়া হয়েছে।



আরো জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে

মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠায় প্রথম বায়াতের ঘটনা ।

Monday, April 1, 2019

ইয়ামানের বাদশার রাজকীয় ভ্রমণকাহিনী ।



 কিতাবুল মুসততরফ হুজ্জাতুল্লাহ আলাল আলামিন ও তারিখে ইবনে আসাকির এ বর্ণিত আছে যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পৃথিবীতে আবির্ভাব এর এক হাজার বছর পূর্বে ইয়ামানের বাদশা ছিলেন তুব্বে আউয়াল হোমাইরি । 



তিনি একবার স্বীয় রাজ্য পরিভ্রমণে বের হয়েছিলেন ।তার সাথে ছিল বার হাজার আলেম ও হেকিম, এক লক্ষ বত্রিশহাজার অশ্বারোহী এবং এক লক্ষ তের হাজার পদাতিক সিপাই ।  এমন শান শওকতে বের হয়েছিলেন যে, যে যেখানেই গেছেন, এ দৃশ্য দেখার জন্য চারিদিক থেকে লোক এসে জমায়েত হয়ে যেত। ভ্রমণ করতে করতে যখন মক্কা নগরীতে পৌঁছলেন, তখন তার এ বিশাল বাহিনী কে দেখার জন্য মক্কা বাসীর কেউ আসলেন না । বাদশা আশ্চর্য হয়ে গেলেন এবং উজিরে আজম কে এর কারণ জিজ্ঞাস করলেন ।উজির ওনাকে জানালেন এ শহরে এমন একটি ঘর আছে যাকে বাইতুল্লাহ বলা হয় । এ ঘর ও এ ঘরের খাদেমগণ এবং এখানকার বাসিন্দাগণকে পৃথিবীর সমস্ত লোক সীমাহীন মর্যাদা করে । আপনার বাহিনী থেকে অনেক বেশি লোক নিকটবর্তী ও দূর-দূরান্ত থেকে এ ঘর জিয়ারত করতে আসে এবং এখানকার বাসিন্দাদের সাধ্যমত খেদমত করে চলে যায় ।তাই আপনার বাহিনীর প্রতি উনাদের কোন আকর্ষন নেই এটা শুনে বাদশা রাগ আসলো এবং কসম করে বললেন আমি এই ঘরকে ধূলিসাৎ করব এবং এখানকার বাসিন্দাগণকে হত্যা করব এটা বলার সাথে সাথে বাদশার নাক মুখ ও চোখ থেকে রক্ত ঝরতে লাগল এবং এমন দুর্গন্ধময় পুঁজ বের হতে লাগল যে ওর পাশে বসার কারো সাধ্য রইল না । এ রোগের নানা চিকিৎসা করা হলো কিন্তু কোন কাজ হলোনা । বাদশা সফরসঙ্গী ওলামা একরামের একজন আলেমে রব্বানী নাড়ী দেখে বললেন রোগ হচ্ছে আসমানী কিন্তু চিকিৎসা হচ্ছে দুনিয়াবী হে বাদশা মহোদয়, আপনি যদি কোন খারাপ নিয়ত করে থাকেন, তাহলে অনতিবিলম্বে সেটা থেকে তওবা করুন।বাদশা মনে মনে বায়তুল্লাহ শরীফ ও এর খাদেমগন সম্পর্কিত যে ধারণা করেছিলেন তা থেকে তওবা করলেন এবং সাথে সাথে রক্ত ঝরা ও পুঁজ পড়া বন্ধ হয়ে গেল ।আর সেই খুশিতে বাদশা বায়তুল্লাহ শরীফে গিলাফ চড়ানো এবং শহরের প্রত্যেক বাসিন্দাকে সাতটি করে সোনার মুদ্রা ও সাত জোড়া রেশমি কাপড় নজরানা দিলেন।অতঃপর এখান থেকে মদিনা-মনোয়ারা গেলেন এবং সফরসঙ্গী ওলামায়ে কেরামের মধ্যে যারা আসমানী কিতাব সমূহ সম্পর্কে বিজ্ঞ ছিলেন তারা সেখানকার মাটি শুকে ও পাথর পরীক্ষা করে দেখলেন যে, শেষ নবীর হিজরতের যে স্থানের যেসব আলামত তারা পড়েছিলেন এ জায়গার সাথে এর মিল দেখলেন।তখন তারা সংকল্প করলেন আমরা এখানে মৃত্যুবরণ করবো এবং এ জায়গা ত্যাগ করে কোথাও যাবো না আমাদের কিসমত যদি ভাল হয় তাহলে কোন এক সময় শেষ নবীর তাশরীফ আনলে আমরাও সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য লাভ করব অন্যথায় কোন এক সময় তাঁর পবিত্র জুতার ধূলি উরে এসে আমাদের কবরের উপর নিশ্চয়ই পতিত হবে যা আমাদের নাজাতের জন্য যথেষ্ট।এটা শুনে বাদশা ওসব আলেমদের জন্য চারশত ঘর তৈরি করালেন এবং সেই বড় আলেমে রব্বানীর ঘরের কাছে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উদ্দেশ্যে দোতলা বিশিষ্ট একটি উন্নত ঘর তৈরি করালেন এবং বলেন যে যখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ আনবেন তখন এই ঘরখানা যেন তাঁর আরামগা হয় । ওই চারশত আলেমগণ কে যথেষ্ট আর্থিক সাহায্য করলেন এবং বললেন আপনারা এখানে  স্থায়ী ভাবে  থাকুন ।অতঃপর সেই বড় আলেমের রব্বানীকে একটি চিঠি দিলেন এবং বললেন আমার এই চিঠি শেষ নবীর খেদমতে পেশ করবেন।যদি আপনার জিন্দেগীতে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আবির্ভাব না ঘটে তাহলে আপনার বংশধরকে ওসিয়ত করে যাবেন যেন আমার এ চিঠিখানা বংশানুক্রমে হেফাজত করা হয় যাতে শেষ পর্যন্ত শেষ নবীর খেদমতে পেশ করা হয় এরপর বাদশা দেশে ফিরে গেলেন ।

 এই চিঠি এক হাজার বছর পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে পেশ করা হয়েছিল। কিভাবে পেশ করা হয়েছিল এবং চিঠিতে কি লেখা ছিল তা শুনুন এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শান মান এর বাস্তব নিদর্শন অবলোকন করুন।
অধম বান্দা তুব্বে আউয়াল হোমাইরা এর পক্ষ থেকে শফিউল মুজনাবিন সাইয়েদুল মুরসালিন মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি - হে আল্লাহর হাবিব, আমি আপনার উপর ঈমান আনতেছি এবং আপনার প্রতি যে কিতাব নাজিল হবে সেটার উপর ঈমান আনতেছি আর আমি আপনার ধর্মের উপর আস্থাশীল।অতএব যদি আমার আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয় তাহলে খুবই ভালো ও সৌভাগ্যের বিষয় হবে।আর যদি আপনার সাক্ষাৎ নসিব না হয় তাহলে আমার জন্য মেহেরবানী করে শাফায়াত করবেন এবং কিয়ামত দিবসে আমাকে নিরাশ করবেন না।আমি আপনার প্রথম উম্মত এবং আপনার আবির্ভাবের আগে আপনার বায়াত করছি।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ এক এবং আপনি তার সত্যিকার রসূল (দরূদ)।

 ইয়ামানের বাদশার এ চিঠি বংশানুক্রমে ৪০০শত ওলামা একরাম এর পরিবারের মধ্য প্রাণের চেয়েও অধিক যত্নসহকারে রক্ষিত হয়ে আসছিল ।এভাবে এক হাজার বছর অতিবাহিত হয়ে গেল ওসব ওলামায়ে কিরামের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা বেড়ে মদিনার অধিবাসী কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেল।এই চিঠি ও ওসিয়ত নামা ও সে বড় আলেমের রব্বানীর বংশধর এর মধ্য হাত বদল হতে হতে হযরত আবু আইউব আনসারী রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু এর হাতে এসে পৌঁছে।তিনি এটা তার বিশিষ্ট গোলাম আবু লায়লার হেফাজতে রাখেন । যখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনা মনোয়ারার প্রান্তসীমায় পদার্পণ করেন, সুন্নিয়াতের ঘাটি সমূহ থেকে যখন তাঁর উষ্ট্রের দৃষ্টিগোচর তখন মদিনার সৌভাগ্যবান লোকেরা মাহবুবে খোদার অভ্যর্থনার জন্য নারায়ে রেসালতের স্লোগান দিয়ে দলে দলে এগিয়ে গেলেন, অনেকে ঘর বাড়ি সাজানো ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে নিয়োজিত হলেন, অনেকে দাওয়াতের আয়োজন করতে লাগলেন।সবাই এটাই অনুনয়-বিনয় করেছিলেন যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে তাশরীফ রাখুক।হুযুর সাল্লাল্লাহু হে ওয়াসাল্লাম ফরমালেন যে, আমার উষ্ট্রের লাগাম ছেড়ে দাও এবং এটা যে ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে এবং বসে যাবে সেটাই হবে আমার অবস্থানের জায়গা।উল্লেখ্য যে, ইরানের বাদশা তুব্বে আউয়াল হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য যে দুতলা বিশিষ্ট ঘর তৈরি করেছিলেন সেটা তখন হযরত আবু আইয়ুব আনসারীর অধীনে ছিল।আর উটটিও সে ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। লোকেরা আবু লায়লাকে গিয়ে বললেন ইয়ামানের সেই বাদশার সেই চিঠি খানা হুজুরকে দিয়ে এসো ।অতঃপর সে যখন হুজুরের সামনে এসে হাজির হলো হুজুর (দরূদ) ওনাকে দেখে ফরমালেন, তুমি আবু লায়লা । এটা শুনে আবু লায়লা আশ্চর্য হয়ে গেল। পুনরায় ফরমালেন যে, আমি মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ(দরূদ),  ইয়ামানের বাদশাহর সেই চিঠিটা যেটা তোমার হেফাজতে আছে সেটা আমাকে দাও।অতঃপর আবু লায়লা সেই চিঠিটা হুজুরকে দিলেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিঠি পাঠ করে ফরমালেন, বাদশা তুব্বা আউয়াল কে অশেষ মোবারকবাদ ।

Sunday, January 7, 2018

Real Islamic true stories of Imam Abu-Hanifa and a atheist.

ইসলামের বড় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সাথে নাস্তিকের মুনাজিরা ।

ইসলামের ইতিহাসেকবার ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর সাথে এক নাস্তিকের সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে মুনাজেরা হয়েছিল । নাস্তিক বিশ্বাস করত না যে পৃথিবীতে কোন সৃষ্টিকর্তা আছে । এতবড় একজন ইমামের সাথে নাস্তিকের এ আলোচনা ছিল কৌতুহলের বিষয় । তাই নামি-দামী লোক সহ ছোট বড় উৎসুক জনতা সবাই আলোচনা সভায় অংশ নেয় । নাস্তিক লোকটি যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিল । কিন্তু ইমাম সাহেব অনেক দেরী করে সভায় উপস্থিত হন । নাস্তিক পন্ডিত তাঁর দেরী হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলেন । তারপর ইমাম আবু হানিফা (রহ.) একে এক সব বলতে লাগলেন । তিনি বললেন, জংগল দিয়ে আসার সময় এক অদ্ভুত ঘটনা চোখে পড়ল, সেটা দেখে আমি আশ্চর্য্ হয়ে সেখানেই থমকে দাড়িয়ে ছিলাম । ঘটনাটি হল নদীর কিনারায় একটি গাছ ছিল ।আমি দেখলাম গাছটি নিজে নিজেই কেটে গেল ।এরপর নিজেই তক্তায় পরিণত হল । তারপর সেই তক্তাগুলো নিজেরাই নৌকা হয়ে গেল তারপর সেটা নিজেই নদীতে নেমে গেল । তারপর সেটা নিজেই নদীতে যাত্রী আনা-নেয়া করতে লাগল । আর সেটা নিজেই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতে লাগল । আর এটা দেখতে গিয়ে আমার দেরী হয়ে গেল । নাস্তিক পন্ডিত এটা শুনে অট্টহাসি দিল এবং বলল আপনার মত এমন এক সম্মানি লোকের পক্ষে এমন জগন্য মিথ্যা বলা খুবই অবাক করার মত বিষয় । এরকম কি কোন কিছু নিজে নিজেই হতে পারে নাকি ! কোন কারিগর না হলে এমনটা কিভাবে সম্ভব ? এটা হতে পারে না ।

short islamic stories with moral

তারপর ইমাম আযম (রহ) বললেন এটা ত কোন কাজই না । আপনার মতে এর থেকে অনেক বড় বড় কাজ ত এমনি এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে । এই যে আসমান-যমীন, চাঁদ-সুরুজ, তারকারাজী, বাতাস পানি, পাহাড়-পর্বত, মানব-দানব ইত্যাদি সব কিছুই ত সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই হয়ে যাচ্ছে । যদি একটি নৌকা কোন কারিগর ছাড়া এমনিতেই তৈরী হয়ে যাওয়াটা একবারে মিথ্যা হয় তবে পুরো সৃষ্টিজগত সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হয়ে যাওয়াটা মিথ্যা ছাড়া আর কি হতে পারে ?

এরপর সেই নাস্তিক উনার এই ধরনের যুক্তি খন্ডনে বিমোহিত নিজের ভ্রান্ত ধারণা ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করল ।

Saturday, September 30, 2017

Best Islamic true stories about Prophet Mohammad (PBUH)

Islamic forever-true stories of Rasul-Allah (PBUH).

islamic true stories


This is one of the Islamic true stories  and greatest signs of God and the authenticity of Islam is a great proof that, the events of Hazrat Mohammad Sallalahu Alaihe-Wasallam’s life have become publicly as it were, There is no other event in the life of another Prophet in relegious life. Of course, there is no doubt that, Because of the details of this the more objection has raised on Hazrat Mohammad Sallalahu Alaihe-Wasallam, The more objection is not possible to raised any other Prophet's existence. But there is no doubt that, after all those objection, people may love entity of Hazrat Mohammad Sallalahu Alaihe-Wasallam in the heart of such a relaxed heart and in ecstatic mind such love can never be with any other person. That is the Islamic True Story Of Hazrat Mohammad Sallalahu Alaihe-Wasallam’s  life.  The events of whose life are kept secret the fear of becoming a victim of love with him is always there. The forever true the life of Muhammad (peace be upon him) was a straightforward book. After all the enemy's objection has been dissolved there is no page left of that book, from where it can be possible to find out more new aspects or objections of his life.

In order to enter the real meaning and significance of the heavenly books, it is necessary to present them with a better example. And the best example is to be the one who is sent down upon it. This matter is fine, the philosopher too. But many religions can not realize its significance. For example, Hindu religion is presenting books of Vedas, but they never say anything about the history of the Rishis and the Munis bringing them. Pandits of Hindu religion still do not feel any need of this. It is very authentic history that similarly, Jews and Christian scholars and priests say very openly too, There was a different fault between the different prophet of the Israelites. They do not want to understand that, the person who has chosen God for his words, if that person is not able to correct the message, Then how do they correct the another? And if that person was not worthy of correction, so why did God choose him?  What was the reason that,  He chose him, did not do any other?  In it, there was any inability of Allah or God, He had chosen David to be obedient to the jabur? He could have chosen any other person from among those Israelites. Therefore, these two types of things can not be acceptable. If it is assumed that the person on whom God had sent down his message, could not correct the message, or if it is assumed that God had chosen such a person, the person who was not able to amend, so both of these types of ideas will be completely contrary to intellectual considerations.  In fact, such misconceptions have arisen due to different religions distant from their respective teachers. That is, due to the increase in time interval. However, it may be that, because human intelligence is not mature enough, it is not possible to visualize or perceive the errors in ancient times. It is true. But it was possible to realize its importance since the beginning of Islam.

An incident in Islamic true stories is, Hazrat Aishah (RA.) was married with Prophet Muhammad (peace be upon him) at the age of thirteen / fourteen years. During the time of Hazrat Mohammad Sallalahu Alaihe-Wasallam's death, then she (RA :) was 21 years old. She did not even know about education. However, the actual theory became apparent to him very clearly. One day a person asked him to know something about the character of Rasool karim (pbuh), he said, Muhammad the Prophet (peace be upon him) was the character of the whole of the Qur'an. (Bukhari and Abu Daud). Whatever he used to say was from the Qur'an and his actions, there was nothing other than the original reality of the Qur'an. Every beauty characteristics which is described in the Qur'an, his practice or work on it was worthwhile and fulfilled. And every work or practice he used to do was taught the Qur'an.

Hindu, Christian, Jewish, and Masihah philosophy failed to understand the significance of the subject, she was able to understand the meaning of that matter. He has expressed this tone of vision in a small tone, how can it be possible that What does a saint give to the world, he himself will not follow or work?  Or, he will do his own work, but he will hide it for the world? That is why, you do not need any history to give the Prophet Muhammad's character (peace be upon him). He was an honest, straightforward and open person. It is not hide it is very true history. He used to do what he used to say, and used to say what he used to do. We have seen him, so I understand the Qur'ān, and those who came later, also read the Quran and understand the Prophet Muhammad (peace be upon him).

Now following the Islamic true stories or events we should to understand the right religion, our Prophet Mohammad Sallalahu Alaihe-Wasallam, our islam.


হযরত মোহাম্মদ সালল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লাহর সবচেয়ে বড় নিদর্শন ও ইসলামের সত্যতার মহিমান্বিত রূপ । তাঁর জীবনের যেসকল ঘটনাগুলি যেভাবে প্রকাশ ঘটেছে এমনটি আর অন্য কোন নবীর জীবনে ঘটেনি । এবং এত কোন সন্দেহ নেই যে তাঁর উপর যেমন অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে তা অন্য কোন নবীর উপরে আনা সম্ভব হয়নি । এতদসত্বেও মানুষ হযরত মোহাম্মদ সালল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পবিত্র সত্তার সাথে যেভাবে প্রেম করতে পারে সেভাবে আর অন্য কোন মানুষের সাথে সম্ভব নয় । এটা সত্যি যে যার জীবনের ঘটনগুলি গোপন থাকে তার সাথে প্রেম কিভাবে সম্ভব । আর এদিক থেকে হযরত মোহাম্মদ সালল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবন ছিল সবার জন্য খোলামেলা বইয়ের মত যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ ছিল না । যেখানে শত্রুদের যাবতীয় অভিযোগ বিলীন হয়ে যাবার পরেও আর কোন আপত্তি বা নতুন কোন ওজর বের করা সম্ভব না ।
আর তাই আসমানী কিতাব গুলোর আসল অর্থ মানুষের মাথায় ঢুকানোর জন্য দরকার উত্তম উদাহরণ। কোরআন হল সেই সর্বোত্তম উদাহরণ যার উপর এটা নাযীল হয়ে থাকে । কিন্তু অনেক ধর্ম এর সঠিক ব্যাখ্যা বুঝতে চায় না । যেমন হিন্দু ধর্মের কথা বলা যায়, তাদের বেদ কিতাব আনয়নকারী ধর্মগুরুদের ইতিহাস সম্পর্কে কেউ সঠিক কিছু বলতে পারে না বা এখনো এর কোন প্রয়োজনীতাও কেউ উপলব্ধি করতে চায়নি ।

বিধর্মীরা বলে থাকে যে আমাদের বিভিন্ন নবীর ভিন্ন ভিন্ন রকমের দোষ ছিল । বিশেষ করে বনী ইসরাইলদের । হাকীকত হল এই যে খোদা- তায়ালা যাকে তাঁর বণীর জন্য মনোনিত করেছেন সে যদি তার নিজের সংশোধন না করতে পারে তবে পরের সংশোধন কিভাবে করবে ? আর সে যদি নিজের সংশোধনের যোগ্যই না হতেন তবে খোদা-তায়ালা তাকে কেন মনোনিত করবেন ? এমন ধরনের আরো অনেক পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে নিজ নিজ ধর্মের গুরুদের থেকে পৃথক হয়ে যাবার কারণে এই ধরনের বিভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছে । কিন্তু আমাদের ইসলামের ধর্ম কিন্তু সেই ধরনের যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য শুরু থেকেই ইসলামের বিভিন্ন বিষয় গুলো নিয়ে উপলব্ধি করে আসছে এবং গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে । ভেবে দেখুন হযরত আয়েশা (রা.) এর বয়স যখন ১৩ কি ১৪ তখন তিনি বিয়ে করেন এবং হুজুর পাক (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) ইন্তেকালর পর তাঁর বয়স হয়েছিল ২১ বছর । তিনি কিন্তু তেমন পড়ালেখা জানতেন না । অথচ ইনার কাছে যখন হুজুর পাক (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) এর চরিত্র ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হল তিনি খুব সূক্ষ ভাবেই জবাব দিলেন – কোরআন-ই হচ্ছে রাসূল পাক (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) এর চরিত্র । ( বোখারী ও আবু-দাউদ শরীফ ) । তিনি যা করতেন এবং বলতেন তরি সবই ছিল কোরআনের বাস্তব তালীম । এছাড়া আর কিছুই না।

বিধর্মীরা য়েখানে এই দর্শন গুলো অনুধাবন করতে ব্যার্থ সেখানে হযরত আয়েশা (রা.) খুব চমৎকারভাবেই ব্যক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন । তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, এক সাধু ব্যাক্তি যিনি নিজে ভাল কাজ করার শিক্ষা দান করেন অথচ নিজে করে না বা নিজে করেন কিন্তু দুনিয়া থেকে তিনি তা গোপন রাখেন ? এজন্য তোমাদের তারঁ সম্পর্কে জানবার জন্য কোন ইতিহাসের প্রয়োজন নেই । তিনি ছিলেন সৎ, সরল এবং প্রাকাশ্য । আমরা দেখেছি তাই কোরান বুঝেছি । তাই তোমরা যারা পরে আসবা তারা কোরআনকে পড় এবং রাসূলকে বোঝ ।


আল্লাহুমা সা্ল্লে আলা মুহামাদ্দীন
কামা সাল্লায়তা আলা ইব্রাহীমা
ওয়া আলা আলে ইব্রাহীমা ওয়া বারেক ওয়া সাল্লেম
ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।

Wednesday, December 14, 2016

A Nice History Of King Of Yemen || History Based Islamic Story.



“তুব্বে আউয়াল হোমাইরি” নামে ইয়ামানের এক বাদশাহ ছিলেন । ঘটনাটি হুজুর পাক সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর আগমনের প্রায় একহাজার বছর আগের কথা । ত তিনি তার নিজ রাজ্য ভ্রমন করার জন্য একদিন বিশাল বাহিনী নিয়ে বের হলেন । তার সাথে বার হাজার আলেম ও হেকিম, এক লক্ষ বত্রিশ হাজার অশ্বারোহী দল আর এক লক্ষ তের হাজার পদাতিক সৈন্য । এক বিশাল শান ও ঐশর্য্য নিয়ে বের হয়েছিলেন যে তার এই বিশাল বাহিনীকে দেখার জন্য চারিদিক থেকে লোক এসেছিল দেখার জন্য । ত এক পর্যায়ে রাজ্য ঘুরতে ঘুরতে যখন মক্কার কাছাকাছি চলে আসলেন তখন দেখা গেল যে, কোন লোকই আর তার এ বিশাল বাহিনীকে দেখার জন্য আসল না । এ ধরনের আশ্চর্যাজনক ঘটনা দেখে বাদশাহ নিজেই অবাক হয়ে গেলেন এবং তার উজিরকে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার এমন হওয়ার কারণ কি ? তখন তার উজির জবাব দিল যে, এই শহরে বাইতুল্লাহ নামে আল্লাহর একটি ঘর আছে । এখানে কাছে ও দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোক আসে এই ঘরকে জিয়ারত করতে । এই ঘরের খাদেম ও এই শহরের বাসিন্দাগণ দুনিয়াবাসীর কাছে আপনার এই বিশাল বাহিনীর শান-শওকতের চাইতেও অধিক সম্মানিত, তাই তাদের আপনার এই দলের প্রতি কোন ইচ্ছা বা আকর্ষণ নেই । এই কথা শুনে বাদশাহ মারাত্মকভাবে ক্ষেপে গেলেন এবং উজিরকে বললেন যে আমি এই ঘর ও গরের মানুষদেরকে ধুলিৎসাত করে দিব । এই কথা বলার সাথে সাথে তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ও পঁচা পুঁজ বের হতে লাগল । অবস্থা এমন দাঁড়াল যে, গন্ধ ও পুজের জন্য তার আশে-পাশে থাকা যেত না । ত অনেক চিকিৎসা, কবিরাজী, হেকিমী করেও তার এই রোগের আরোগ্য করা গেল না । তারপর এক সন্ধ্যায় উনারই দলের এক বড় আলেম উনার নাড়ী দেখে বললেন হুজুর আপনার অসুখটা জটিল, কিন্তু চিকিৎসা খুবই সহজ । তিনি বললেন বাহশাহ হুজুর, আপনি যদি মনে কোন খারাপ ধারণা পোষণ করে থাকেন তবে তা শুদ্ধ করে নিন । এই খারাপ ধারণাই আপনার এই জটিল রোগের কারণ । অতঃপর বাদশাহ তার সেই মক্কা ও মক্কার অধিবাসিদের প্রতি যে খারাপ মনোভাব উদয় হয়েছিল তা থেকে সে তওবা করে নিল আর অমনি তার এই জটিল রোগ সেরে গেল । বাদশাহর আর বুঝতে বাকী রইল না যে সে মক্কা কত মহামান্বিত ও পবিত্র ।
এরপর বাদশাহ আরোগ্য লাভ করায় খুশি হয়ে মক্কায় মানে বায়তুল্লাহ শরীফে একটি রেশমী কাপড়ের গিলাফ চড়িয়ে দেন । আর মক্কার বাসিন্দাদেরকে সাতটি করে স্বর্ণমুদ্রা ও সাত জোড়া করে রেশমী কাপড় উপহার দেন ।

তারপর বাদশাহ তার আলেমদের মধ্যে যারা আসমানী কিতার সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী ছিলেন তাদেরকে নিয়ে তিনি মদিনায় অবস্থান করলেন । উক্ত আলেমগন আসমানী কিতাবের সাথে মিল রেখে সেখানকার মাটি, আবহওয়া ইত্যাদি পরিক্ষা-নীরিক্ষা করে আমদের নবী হজরত মোহাম্মদ সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়সাল্লাম এর আগমনের জায়গার আলামতের মিল পেলে সেখানে চিরদিনের জন্য থেকে জন্য শপথ করে নেন । তারা বলেন যে, আমরা এখানে মৃত্যু অবধি অবস্থান করব যদি আমাদের কিসমত ভাল হয় তবে আমরা উক্ত শেষ পয়গম্বরের সাক্ষাত পাব । আর যদি তা না হয় তবে কোন এক সময় আমাদের কবরে  হয়ত তাঁর (দরূদ) এর পত্রি জুতার ধূলি আমাদের কবরের উপর এসে পড়বে আর আমাদের নাজাতের জন্য এটাই যথেষ্ট হবে । বাদশাহ আলেমদের এ ধরণের সিদ্ধান্ত দেখে তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য জন্য ৪০০ ঘর ও প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন । আর সবচেয়ে বিদ্ধান আলেমের ঘরের কাছে ২তলা বিশিষ্ট একটি উন্নত মানের ঘর বানান এবং আলেমদের বলেন যে এই ঘরটা আমি আল্লাহর পেয়ারা হাবিবের জন্য বানিয়ে দিলাম যেন এটাকে তিনি আরামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন । অতঃপর তিনি হুজুর পাক রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম বরাবর একটা চিঠি লিখলেন এবং সকল আলেমদের কে অনুরোধ জানালেন যে, তার এই চিঠি যেন রাসূল পাক (দরূদ) এর কাছে পৌছে দেয় । আর যদি তারা রাসূল (দরূদ) এর সাক্ষাত না পান তবে তাদের বংশদেরকে যেন ওছিয়ত করে যায় এই চিঠিখানা যেন রাসূল (দরূদ) এর আগমন অবধি পালাক্রমে হেফাজত করে রাখে এবং হুজুরের থেদমতে সমীপে পেশ করা হয় ।

বাদশাহ ত চলে গেলেন । যাই হোক উনার এই চিঠি এক হাজার পর যখন হুজুর পাক সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আসেন অতঃপর যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলেন তখন এ চিঠি ইনার খেদমতে পেশ করা হয় ।
যাই হোক ঘটনার সংক্ষেপ হল বাদশাহের এ চিঠি এক হাজার বছর পর সেই স্বনামধন্য আলেমের বংশধরদের ওছিয়তের হাত ধরে ধরে শেষে সাহাবী হযরত আবু আইয়ুব আনছারী (রা.) এর কাছে গিয়ে পৌছায় । হুজুর পাক সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতে যান তখণ মদিনার লোকেরা পাগলপ্রায় হয়ে স্বাগতম জানানোর জন্য জমায়েত হতে থাকে এবং একেক সাহাবী স্ব স্ব ঘরে তাশরীফ নেয়ার জন্য অুরোধ করতে থাকে । অবস্থা এমন দেখে হুজুর পাক সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন ঠিক আছে আমার উটের লাগাম ছেড়ে দেয় হল সে যেথায় গিয়ে দাঁড়াবে এবং বসবে সেটাই হবে আমার অবস্থান ।অতঃপর উট গিয়ে থামল হুজুর পাক সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর জন্য তৈরী করে দেয়া দোতলা বিশিষ্ট বাদদশাহের সেই আরামঘরের সামনে গিয়ে থামে । তখন এ ঘরটি সাহাবী হযরত আবু আউয়ুব আনছারী (রা.) এর আওতায় ছিলো । বাদশাহের সেই চিঠিটা আনছারী (রা.) তার গোলাম আবু লাইলার কাছে হেফাজত করে রাখেন । চিঠিটা উনাকে আনতে বলা হলে তিনি চিঠি নিয়ে হুজুর পাক রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম এর সামনে আসতেই হুজুর পাক রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম বললেন তুমি আবু লাইলা না ? বিস্মিত আবু লাইলা কিছু বলার আগেই হুজুর পাক রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম আবার বললেন যে, আমি মোহাম্মদ রাসূলুল্লাহ ! ইয়ামানের বাদশাহের সেই চিঠিটা যেটা তোমার হেফাজতে আছে সেটি নিয়ে আস । তারপর হুজুর পাক রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম সেই চিঠিখানা পড়লেন । যাতে লিখা ছিল এরূপ :-

অধম বান্দা তুব্বে আউয়াল হোমাইরির পক্ষ থেকে শাফীউল মুযনাবীন সৈয়্যদুল মুরসালীন রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম এর প্রতি । হে আল্লাহর হাবীব, আমি আপনার উপর ঈমান আনতেছি এবং আপনার প্রতি যে কিতাব নাযীল হবে সেটার উপরও ঈমান আনতেছি । আমি আপনার ধর্মের উপর আস্থাশীল । অতএব যদি আপনার সাথে সাক্ষাতর সুয়োগ হয় তাহলে খুবই ভাল এবং সৌভাগ্যর বিষয় হবে । আর যদি আপনার সাক্ষাত নসীব না হয়, তাহলে আমার জন্য মেহেরবাণী করে শাফায়ত করবেন এবং কেয়ামত দিবসে আমাকে নিরাশ করবেন না । আমি আপনার প্রথম উম্মত এবং আপনার আর্বিভাবের আগেই আপনার বায়াত করছি । ’আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ এক এবং আপনি তার সত্যিকার রাসূল ।’


চিঠি পড়া শেষ হলে নবী  হুজুর পাক রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াল্লাম বললেন যে, নেক বান্দা তুব্বে আউয়ালকে অশেষ মোবারকবাদ --

About Islamic Nuptials History of Fatima (RA.).

The Nuptials History of Hazrat Ma Fatima (ra.). A Short Eventful Islamic Marriage History.

islamic bangla site
A Nuptials Image


ইসলামিক সাল অনুযায়ী ২য় হিজরীতে  রমজান মাসে হযরত মা ফাতেমা (রা.) এর সাথে হযরত আলী (রা.)এর বিবাহ হয় । বর্ণনাকারীদের মধ্য কেউ কেউ বলেন তাঁদের বিয়ে হয়েছিল সফর মাসে । আবার কেউ এমনও বলে থাকেন সেটা উহুদ যুদ্ধের পরেই হয় । যখন হযরত মা ফাতেমা (রা.) এর বিয়ে হয় তখন উনার বয়স ছিল ১৬ অথবা ১৮ বছর । আর হযরত আলী এর বয়স ছিল ২১ বছর ৫ মাসের মত । হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) সর্ব প্রথম মা ফাতেমাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিলেও মহানবী (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) উনাকে বলেন যে আমি এ ব্যপারে ওহীর অপেক্ষায় আছি । এরপর হযরত উমর (রা.) একই রকম প্রস্তাব করেন । নবীজি (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) উনাকেও একই উত্তর দিলেন । 

According to the Islamic period, in the second Hijri in the month of Ramadan, Hazrat Ali (ra) was married to Hazrat Fatima (ra). Many previous history, So there are a little disagreement in this narration. Some of the historians have said that, they were married in the hijri month of the Safar. Someone also says that it was after the war of Uhud. When the mother Fatima (R) was married, she was 16 or 18 years old. And Harat Ali was 21 years old. Hazrat Abu Bakr Siddiq (ra) offered the first to marry mother, Fatimah. But The Prophet (sallallahu alaihi wa sallam) told him that I am waiting for this. Then, the second caliph of Islam, Umar (ra)made similar proposal. The Prophet (sallallahu alaihi wa sallam) gave the same answer to him.


কোন বর্ণনায় আছে যে, নবীজি  (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তখন উনাদেরকে বললেন যে মা ফাতেমার বয়স ত এখনও অনেক কম । একদিন সাহাবিগণ বিশেষ করে উম্মে আয়মান (রা.) হযরত আলী (রা.) কে মা ফাতেমাকে বিয়ে করার জন্য উৎসাহ দিতে লাগলেন । তখন জবাবে আলী (রা.) বললেন যে, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে সংকোচ বোধ করি । তিনি আরো বলেন, হযরত আবু বকর ও হযরত উমর (রা.) এর প্রস্তাব যখন প্রত্যাখান করেছেন তখন আমার প্রস্তাবে সাড়া দিবেন কেন । উত্তরে সাহাবীগন বললেন আপনি রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর নৈকট্যভাজন এবং তাঁর পিতৃব্যপুত্র আবদুল মুত্তালিবের অধস্তন পুরুষ । সুতরাং আপনি সংকোচ করবেন না । এতে হযরত আলী (রা.) আর কথা না বাড়িয়ে একদিন হযরত মোহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর খেদমতে হাজির হয়ে সালাম দিলেন । রাসূল পাক (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সালামের জবাব দিয়ে বললেন, হে আবু তালিব তনয়! কিছু বলবে কি ? জবাবে হযরত আলী (রা.) বললেন যে, আমি ফাতেমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছি । তখন রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) শুধু এতটুকুই বললেন- মারহাবান ইয়া আহলান । হযরত আনাস (রা.) সে সময় উপস্থিত ছিলেন । তিনি বললেন- আমি দেখতে পেলাম যে, তাঁর পবিত্র চেহারায় ওহী নাযিল হওয়ার অবস্থা । সে অবস্থা ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করল । যখন তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেন তিনি বললেন আনাস! আরশাধিপতির পক্ষ থেকে জিবরাঈল আমার নিকট বলে গেলেন যে, ফাতেমার বিয়ে আলীর সাথে দাও । তুমি যাও, আবু বকর, ওমর, উসমান, তালহা, যুবায়ের, এবং আনসারদের ডেকে আন । সবাই হাজির হলে তিনি (দরূদ) বিবাহের ব্যাপারে কিছু কথা শেষ করলেন এবং আল্লাহ্-তায়লার প্রশংসা ও পবিত্রতা প্রকাশ করলেন । তারপর রাসূল (দরূদ) হজরত আলী ও হজরত মা ফাতেমা (রা.) এর শুভ বিবাহ সম্পূন্ন করলেন । তারপর হুজুর পাক (দরূদ)  চারশ মেছকাল রৌপ্যর মহর নির্ধারণ করে বললেন হে আলী!!! তুমি কি কবুল করেছ ও রাজী হয়েছ ? হজরত আলী (রা.) বললেন- আমি কবুল করলাম এবং রাজী হলাম । এরপর রাসূল পাক (দরূদ) একপাত্র খেজুর নিযে সাহাবীগণের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন ।

In a narration that, the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said to them: the age of Mother Fatma is still very low. One day the disciples, especially Umm Ayman (ra), encouraged Ali (ra) to marry Mother Fatema. In response, Ali (R) said, I feel embarrassed to say anything about this. He also said, when the proposal of Hadrat Abu Bakr and Hadrat Umar (R) was rejected, Then why would he agree with my proposal? Said the companions in reply You are the proximity of the Messenger (Sallallahu alaihe Wassallam) and the subordinate men of his father, Abdul Muttalib. So you do not hesitate for this. Ali (R) appeared before Prophet Mohammad (Sallallahu alaihe Wassallam) and gave salam. The Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) replied to Salam, "O Abu Talib son! Will you say something ? In response, Ali (R) said that I came with the proposal to marry Fatima. Then the Prophet (sallallahu alaihi wa sallam) only said this: Marhawan ya Ahlan ! Hazrat Anas (ra) was present at that time. He said - I see that, I saw such a feeling in his holy face so Revelation was revealed. The situation started to grow gradually. When he came back to normal he said Anas! Gabriel said to me from the throne, Get married to Fatima with Ali. You go, call Abu Bakr, Omar, Othman, Talha, Jubair and the Ansar. When everyone appeared, he (Darud) finished some things about the marriage And expressed the praise and sanctity of God. Then the Prophet (peace be upon him) completed the Happy Marriage of Hazrat Ali and Hazrat Ma Fatima (ra.). Then the Prophet (sallallahu alaihi wa sallam) determined four hundred meskal silver seals and said; Hey Ali !!! Have you accepted and agreed? Hazrat Ali (ra) said - I accepted and agreed. Then the Prophet (peace be upon him) divided somes dates among the Companions.


You Are Reading About Islamic Nuptials History of Fatima (RA.) In Bangla And English.


বিবাহকার্য সম্পূন্ন হলে রাসূল (দরূদ) স্বীয়কক্ষে প্রবেশ করলেন এবং হজরত মা ফাতেমাকে পানি আনতে বললেন । মা ফাতেমা (রা.) কাঠের একটি পেয়ালাতে পানি নিয়ে এলেন । রাসূল (দরূদ) উক্ত পানিতে নিজের লালা মোবারক মিশিযে দিয়ে বললেন আমার কাছে এস । মা ফাতেমা কাছে এলে তারপর তিনি (দরূদ) মা ফাতেমার পবিত্র বক্ষে ঐ পানি ছিটিয়ে দিলেন এবং বললেন হে আমার আল্লাহ! আমি আমার এ কন্যাকে এবং তাঁর সন্তানদেরকে বিতাড়িত শয়তানের প্রভাব থেকে তোমার  আশ্রয়ে দিয়ে দিলাম । তারপর তিনি আবার মা ফাতেমাকে বললেন হে পুত্রী! আমার দিকে পিঠ ফিরাও। তারপর তিনি পিছনে ফিরে দাঁড়ালেন । তিনি (দরূদ) আবার সেই পানি মা ফাতেমার দুই কাঁধের মধ্যবর্তীস্থানে ছিটিয়ে দিলেন অতপর বললেন হে আমার আল্লাহ! আমি একে এবং এর সন্তানদের বিতাড়িত শয়তানের কৃদৃষ্টি থেকে তোমার আশ্রয়ে সমর্পণ করলাম । তারপর তিনি আবারও আরো কিছু পানি আনতে বললেন । এ কথা শোনার পর হজরত আলী (রা.) বললেন যে, আমি বুঝে ফেললাম এবার রাসূলুল্লাহ (দরূদ) কি করবেন । আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং পানি নিয়ে আসলাম । এরপর রাসূল (দরূদ) অনুরূপ একই আচরণ করলেন এবং উক্ত পানি হজরত আলী (রা.) মাথায় ও মুখে ছিটিয়ে দিলেন । তারপর দোয়া করলেন । অতঃপর রাসূল (দরূদ) অজু করে উভয়ের জন্য দোয়া করলেন এভাবে হে আমার আল্লাহ! এ দুটি প্রাণ আমার এবং আমিও তাদের । হে আমার রব! যেভাবে তুমি আমাকে পবিত্র করেছ, সেভাবে তুমি এদেরকেও পবিত্র করো । 

When the act of marriage was completed, the Prophet (peace be upon him) entered his house and He asked Fatima to fetch water. Mother Fatima (ra) brought water in a cup of wood. The Prophet (PBUH) mixed his saliva mubarak in the water ‍and said come to me. When Mother Fatima come to Hujur Pak (PBUH), then he (PBUH) sprinkled the water on Fatima's holy chest and said, O my God (Alalah)! I gave my daughter and her children to your shelter from the influence of Satan who was driven out from your mercy. Then he again asked Mother Fatema, O daughter! turn me back. Then he stood back behind. He (PBUH) again sprinkled the water between the two shoulders of Fatma then he said, O my God(Allah)! I surrendered her and her children to your shelter from the evil eye of the driven out devil. Then he said to bring some more water again. After listening to this, Hazrat Ali said, I understand what will the Messenger of Allah (PBUH) do? I got up and took water. Then the Prophet (PBUH) behaved similarly and he (PBUH) sprayed water on the head and face of Hazrat Ali (ra). Then he prayed. O my God! These two lives are mine and I also have them. O my lord, Just as you purify me, you make them pure.

অতঃপর তিনি দুজনকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা তোমদের শয়নকক্ষে যাও । তিনি আরো দোয়া করলেন, হে আমার আল্লাহ! দুজনের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টি করে দাও । এদের সন্তানদের মধ্যে বরকত দান করো । এদেরকে অস্থিরতামুক্ত করো । এদের বংশধরদেরকে পুণ্যবান করো । এদের উপর বরকত বর্ষণ করো । এদের বংশধারা থেকে অধিকসংখ্যক পবিত্র সন্তান সৃষ্টি করো । খতীব বাগদাদী (রহ.) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূল (দরূদ) যখন হজরত মা ফাতেমা (রা.) কে হজরত আলী (রা.) এর সাথে বিবাহ দিলেন তখন মা ফাতেমা কেঁদে ফেললেন । তখন নবীজি (দরূদ)  জিজ্ঞেসা করলেন হে আমার কলিজার টুকরা! কাঁদছো কেনো ? মা ফাতেমা বললেন হে আল্লাহর রাসূল (দরূদ)! আপনি আমাকে এমন একজনের সাথে বিবাহ দিলেন, যে বিত্তহীন । তখন রাসূলুল্লাহ্ (দরূদ) বললেন ফাতেমা ! তুমি কি একথা জেনে তুষ্ট হবে না যে, আল্লাহতায়ালা সারা পৃথিবীতে দুজনকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন । তাদের মধ্যে একজন তোমার পিতা আর অপরজন তোমার স্বামী । 

Then he said to both of them, "Go to your bedroom. He also prayed, O my God! Create love between these two. Bless among their children. Relieve them of the unrest. Make its descendants happy. Bless them with blessings. Create more holy children from their descendants. A famous Khatib in history of Islam named Baghdadi (RA) he has narrated from Hazrat Ebn-Abbas (RA.), When the Prophet (PBUH) get married Mother Fatima (ra) with Ali (ra) then Mother Fatima (RA.) Mother Fatima cried. Then the Prophet (darud) asked, O my wicker piece!! why are you crying? Mother Fatima said, O Messenger of Allah (PBUH)! You married me to someone who is proletarian. Then the Prophet (PBUH) said Fatema! Would you not be surprised to know that Allah has honored two people especially in the world? One of them is your father and the other is your husband. 

আবার কোথাও বর্ণনা এসেছে এমন যে, রাসূল (দরূদ) এমটি বলেছেন, আমি এমন একজনের সাথে তোমাকে করেছি, যে সর্বপ্রথম ইসলামগ্রহনকারীদের অন্যতম আর মুসলমানদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী । আর তুমি আমার উম্মতের নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠা, যেমন ছিলেন মরিয়ম তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে । ইসলামিক হাদিস শরীফে আছে, হজরত মোহাম্মদ (দরূদ) হজরত আলী (রা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে ? হজরত আলী (রা.) বললেন যে, আমার একটি ঘোড়া আর একটি বর্ম আছে । অতঃপর রাসূলুল্লাহ (দরূদ) বললেন, ঘোড়াটি তোমার প্রয়োজন । সুতরাং বর্মটি বিক্রি করে দাও এবং সেই অর্থ আমার নিকট নিয়ে আসো । অতঃপর তিনি বর্মটি চারশ আশি দিরহামে বিক্রি করে দিলেন এবং সেই অর্থ নবীজি (দরূ) এর হাতে দিলেন । রাসূল পাক (দরূদ) তা থেকে কয়েকটি মুদ্রা হজরত বেলাল (রা.) এর হাতে দিয়ে আতর ও খুশব কিনে আনতে বললেন । অবশিষ্ট মুদ্রাগুলি উম্মে সুলায়েম (রা.)কে ‍ দিয়ে তাঁকে বিবাহের সাজ-সজ্জা, সংসারের কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে আনতে বললেন । অতঃপর উম্মে সুলায়েম দুটি চাদর, কাতানের দুটি নেহালী, চার বিঘত কাপড়, পরিধেয় কিছু বস্ত্র, রৌপ্যের দুটি বায়ুবন্দ, গদী, বালিশ, একটি পেয়ালা, একটি চৌকি, একটি মশক এবং কিছু পানপাত্র কিনলেন । অতঃপর রাসূল (দরূদ) সংসারের কাজকর্ম গুলোকে দুজনের মধ্য ভাগ করে দিলেন  এভাবে- মা ফাতেমা করবেন রুটি বানানো, ঘর ঝাড়ু দেয়া, যঁতা পিষা ও গৃ‌হকর্ম সম্পাদান করা আর হজরত আলী (রা.) করবেন বাইরের কাজ ।

It has been mentioned somewhere that, The Prophet (PBUH) said so, I have convinced you with one of them, who is one of the first recipients of Islam and most wise among the muslims. And you are the best of the women of my Ummah, as Mary was in her community. In the Islamic hadith, Hazrat Mohammad (PBUH) asked Hazrat Ali (ra), Do you have anything? Hazrat Ali (ra) said that, I have one horse and one armor. Then the Prophet (PBUH) said, "The horse needs you." So sell the armor and bring that money to me. Then he sold the armor to four hundred eighty dirhams and hand over the money to the Prophet (daru). Rasul Pak (peach be upon him) gave some coins to Hazrat Bilal (R) and asked to buy perfumes and sweets. The remaining coins were given to Umm Sulaim (ra) ‍and ask to buy wedding decorations, some essentials of family. Then Umm Sulayem bought two sheets, two Nehnali katana, four spun clothes, two clothes of costumes, two airbags of silver, a pillow, pillow, a cup, a stool, a mashak and some water pots. Then the Prophet (darud) divided the activities between the two in this way - Mother Fatima will make bread, house broom, paddle and housekeeping and Hazrat Ali (ra) will do the outside work.

This was their wedding history from where we can learn about the standard Islamic wedding. 

Monday, December 12, 2016

Islamic History Of First Qiblah Change In Bangla.

Islamic History Of First Qibla In Bangla.



কেবলা পরিবর্তনের ইতিহাস ।

ইসলামের ইতিহাসে হিজরতের ২য় বছরে মুসলিমদের কেবলা পরিবর্তন হয় । রসূলপাক (দরূদ) মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করার প্রায় ১৬ থেকে ১৭মাস পর বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে হযরত ইব্রহীম (আঃ) কতৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদুল হারামে কেবলা পরিবর্তন করা হয় । হুজুরে পাক (দরূদ) শবে মেরাজের যাত্রাও করেন এখান থেকে । যদিও বায়তুল মোকাদ্দাসে ফিরে নামাজ পড়াটা আল্লাহ কতৃক আদিষ্ট হয় তবুও ইহুদিদের মনজয় করার ব্যাপারটি ছিল অন্যতম । আর আমাদের হুজুর পাক (দরুদ) চেয়েছিলেন যে, মুসলমানদের কেবলা হোক মসজিদুল হারামের দিকে আর এটা উনার মনের বাসনাও ছিল বটে । এজন্য তিনি ওহী নাযিলের অপেক্ষায় ছিলেন । অতঃপর ওহী নাযীল হল । যার অর্থ ছিল 


bangla islamic site.
Al-Aqsa Mosque. 


[আকাশের দিকে তোমার বার বার তাকানোকে আমি (আল্লাহ) প্রায় লক্ষ্য করি । সুতরাং তোমাকে আমি এমন ক্বিবলার দিকে ফিরাইয়া দিতেছি ,যাহা তুমি পছন্দ কর । অতএব তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও ।] 
আর এভাবেই রহিত হয়ে গেল নামাজের জন্য ক্বিবলার দিক ।

In the history of Islam, the Qibla of Muslims is changed in the second year of the Hijrah. The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said that after 16 to 17 months of emigration to Madinah Munawara, the qiblah was changed to the Mosjidul Haramain built by Ibrahim (peace be upon him) from Baitul Mokaddas. Hajur Pak (darud) also traveled to Shabeer Meraaj from here. Even though Allah ordered the prayer to return to the temple, it was one of the main things to celebrate the Jews. And our lord Pak (Darood) wanted that the qiblah of Muslims would be on the Mosque of Haram and It was also the desire of his mind. That is why he was waiting for revelation. Then the revelation was revealed. Which means that

"I (Allah) often overlooked the look of your face towards the sky. So, I am returning to the Qibla, which you like. So turn your face towards the Sacred Mosque."
Thus, in the Islamic History, the direction of Qibla for Salat was canceled.

Read Our Islamic History In Bangla And English.

এক বর্ণনায় এসেছে যে, রসূল পাক (দরুদ) একবার এক মহিলা সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন এবং জোহরের নামাজের সময় হলে উপসি্থত সকল সাহাবীদের কে নিয়ে নামায শুরু করলেন । অপর বর্ণায় এসেছে, সেখানে ছিল বনী সালামার একটি মসজিদ । আর তখন তিনি সেখানেই নামায পড়ছিলেন । এ অবস্থায় যখন তিনি ২য় রাকাতের রুকুতে গেলেন তখনই ওহী নাযীল হল কেবলা পরিবর্তন করার জন্য । আর সাথে সাথে তিনি মুখ ফিরিযে নিলেন কাবা গৃহের দিকে । অতপর তিনি নামায শেষ করলেন । বোখারী শরীফে এসেছে, হুজুর পাক (দরুদ) সর্বপ্রথম যে নামাজ মসজিদুল হারামের দিকে ফিরে পড়েছিলেন সেটি ছিল আসরের নামায । বিশ্লেষকগণ বলেছেন যে, একথাটার অর্থ হল এই যে, পরিপূর্ণভাবে যে নামাজ ক্বেবলার দিকে ফিরে করা হয় তা হল আসরের নামাজ ।

In a narration that Messenger (peace be upon him) was present at the house of a female companion once And at the time of Zuhr prayers, all those of the disciples who started the prayer. In another narration, there was a mosque in Bani Salama there. And then he was praying there. In this situation when he went to the second rak'ah ruku, Then the revelation of the Divine is changed to Qibla. As soon as he turned his face towards the house of the Kaaba. Then he finished the prayer. Islamic history says, Hajur Pak (Darud) was the first to offer the Asr prayer towards the mosque of Mosjidul Haram.


bangla islamic site
Interior Of Mosjidul-Aqsa


ছবিতে দেয়া মসজিদটি মদীনা-মুনাওয়ারার আধা মাইল পূর্বে আকীক উপত্যকা এবং বীরে রুমার নিকটবর্তী স্থানে যেই মসজিদটিতে কেবলা পরিবর্তন করে নামাজ আদায় করা হয় তার নাম হল মসজিদে ক্বিবলাতাইন ।

 In this picture, The mosque is located half a kilometer east of Al Madinah-Munawara and near the Aakki valley and near the Bir Rumara. This mosque is named Mosjid-E Kiblatain.

Dear Readers, If You Want To Know About Islam You Have To Read The Islamic History. Now There are Available In Bangla.