কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার পিতা-মাতা, এবং তার সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মোহাব্বত করবে। {সহীহ বুখারী শরিফ, হাদীস নং-১৫, সহীহ মুসলিম শরিফ, হাদীস নং-১৭৭}

Sunday, January 28, 2018

মুসলিম স্থাপত্যর নিদর্শন স্পেনের গ্রানাডায় ।

আলহাম্বরার মুসলিম স্থাপত্য ।

আলহাম্বরা । ইউরোপের স্পেনের আন্দালুসিয়ায় গ্রানাডা শহরে অবস্থিত আলহাম্বরা ।শত বছরের মুসলিম স্থাপত্যর কীর্তি বহন করছে এই আলহাম্বরা ।মুসলমানদের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে এটা এখন স্পেনের দর্শনীয় স্থান । হাজার হাজার দর্শক এখন ভীড় জমায় এই মনোরম জায়গাটিতে । আগে এর নাম ছিল কালাত হাম্বরা । আর বাংলায় বলা হয় লাল কেল্লা । এটা একটা রাজমহল যা স্পেনের মুসলিম আমির বা রাজারা এটাকে রাজদরবারের কাজে ব্যবহার করতেন ।ইউরোপের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে একটা সময় মুসলমানেরা দাপটের সাথে শাসন করে বেড়াত । ইসলামিক ইতিহাসে তারই সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে আছে আন্দালুসিয়ার এই আলহাম্বরা প্রাসাদটি ।
মুসলিম স্থাপত্য আলহাম্বরা প্রাসাদ

মুসলিমরা যখন একবার স্পেন দখল করে তখন থেকেই এই প্রাসাদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় । এই নির্মাণ শৈলীর নির্মাণ শৈলী বা নির্মাণ কৌশলের নির্মাণকাল হল তের শত শতাব্দির দিকে । এ স্থপত্যকলাটি নির্মাণ করে আন্দালুসিয়ার মবিশ শাসকরা । আসসাবিকা নামক পাহাড়ের উপর এটা নির্মাণ করা হয় । বারশত আটত্রিশ সালে নাসরি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা <link>মুহাম্মদ ইবনে নাসর<link> ওরফে নাজার সাহেব প্রনাডা দখলের উদ্দেশ্য এলভিয়ার ফটক দিয়ে আসার সময় এই ফটকের নাম দেন আল-হামার মানে হল লাল । কেউ কেউ বলেন তিনি লাল রংঙের দাড়ির অধিকরী হওয়াতে তিনি এর নাম করণ এমন করেন ‍। আবার এমনও শোনা যায় যে, এই দালানটি দিনে রাতে তৈরী করা হয় । রাতের বেলায় কাজ করার সময় তারা মশাল জ্বালিয়ে কাজ করত ফলে দূর থেকে সেটা লাল দেখা যেত বলে এই রাজপ্রাসাদের নাম হয়েছে আল-হাম্বরা । আবার এও হতে পারে যে, এটা স্থপতিকারের নামানুসারেই রাখা হয়েছে । বিষয়টি আসলে কিছুটা অপরিষ্কার । আলহাম্বরা স্থপতিকলার স্থপতিকারের নাম ছিল আবু আল-আহমার । এর মানেও লাল ।

উনিশত চুরাশি সালে ইউনেস্কো বিশ্বে ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে মুসলিমদের তৈরী এই স্থাপত্যকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে । মুসলিম স্থাপত্যর এই অনন্য নিদর্শন দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে ভীড় জমায় । বিগত 2011 সালের আগষ্ট মাস নাগাদ 40মিলিয়নের বেশী দর্শনার্থী এখানে আনাগোনা করেন ।



এই ভবনটি নির্মাণের জন্য তেমন কোন নকশা বা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়নি ফলে এটা দেখতে সমকোণীয় নয় । 1600শতাব্দিতে যখন পঞ্চম চার্লস এই প্রাসাদটি ব্যবহার করতে থাকেন তখন থেকেই এই প্রাসাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ হতে থাকে । আলহাম্বরার আয়তন হল দৈর্ঘ্য 740মিটার, প্রস্থ 205মিটার এবং প্রায় 142,000 বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এর অবস্থান । এখানে রয়েছে সুরক্ষিত প্রাচীর সহ তেরটি মিনার, কিছু সংখ্যক মরিস প্রাসাদ এবং আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা ।

0 comments:

Post a Comment